📚 Zahidul Saad Classroom -এ আপনাকে স্বাগতম! 🎉
আপনার একাডেমিক ও ভর্তি প্রস্তুতিকে আরও সহজ এবং সফল করতে আমরা এনেছি প্রয়োজনীয় বই ও নোটের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। 📖✨
এখানে এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন গুরুত্বপূর্ণ সকল বই ও নোটের PDF, যা আপনার পড়াশোনাকে করবে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী। 🚀💡
শিক্ষা হোক সবার জন্য সহজলভ্য! 🌟
এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঅধ্যায়ঃ ১ ( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি - বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত )টপিকঃ ইন্টারনেট অফ থিংস
কেভিন অ্যাশটন (Kevin Ashton) কে IoT এর উদ্ভাবক বলা হয়। কারণ তিনি প্রথম ১৯৯৯ সালে শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নতুন এক দ্বার খুলে দিয়েছে এই আইওটি। অষ্টাদশ শতাব্দী ছিল শিল্প বিপ্লবের শতাব্দী। বিংশ শতাব্দী কম্পিউটার বা আরও ব্যাপক অর্থে তথ্য বিপ্লবের শতাব্দী। আর বর্তমানে একবিংশ শতাব্দী পরিচিতি পেতে যাচ্ছে আইওটি (IoT) বিপ্লবের যুগ হিসেবে।ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্কযুক্ত ফিজিক্যাল ডিভাইসগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ফলে যে স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠে তাকে ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি (IoT) বলে। অর্থাৎ ইন্টারনেট অফ থিংস হলো ইলেকট্রনিক্স, সফটওয়্যার, সেন্সর ও নেটওয়ার্ক সংযোগের সাথে যুক্ত ফিজিক্যাল অবজেক্ট যেমন- ডিভাইস, যানবাহন, ভবন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং অন্যান্য আইটেমের মধ্যে তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম এক ধরনের নেটওয়ার্ক। আইওটি বাস্তবায়নের জন্য কম বেশি পাঁচটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। যেমন- সেন্সর, নেটওয়ার্ক, স্টান্ডার্ডস, ইন্টেলিজেন্ট অ্যানালাইসিস, ইন্টেলিজেন্ট অ্যাকশন।
উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন অবজেক্টের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের জন্য দরকার সেন্সর, ক্যামেরা প্রভৃতি। যেমন ধরা যাক, আপনি বাসার বাইরে চলে গেছেন, প্রচন্ড শীত ঠান্ডায় সব জমে যাচ্ছে। ঘরের হিটারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে রেখেছেন। কিন্তু দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়তে থাকল এবং ক্রমে ১৫ ডিগ্রিতে পৌছাঁল। ঘরের বাইরের থার্মোমিটারে একটি বিশেষ চিপ লাগানো আছে। সেখান থেকে সব সময় তাপমাত্রার খবর ঘরে পাঠানো হচ্ছে। ঘরের ভিতরের হিটারের সেন্সর সেটা ধরতে পারছে। যখন বুঝলো বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে ১৫ ডিগ্রি, তখন হিটার তার তাপমাত্রা কমিয়ে আনল। একই সঙ্গে সে আপনার কাছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির তথ্য পাঠিয়ে দিল।
আমেরিকার বিশাল প্রান্তরে গরু চরানোর সময় আইওটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। গরুর কানে একটা করে চিপ লাগানো থাকে। ওদের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চরে বেড়ানোর কথা। সেই সীমার কাছাকাছি গেলে গরুর শরীরে মৃদু শক লাগবে। গরু ফিরে আসবে। গরু সারাদিন কোন দিকে যাচ্ছে, সব খবর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আসছে।
ভবিষ্যতে পৃথিবীর মানুষ সম্পূর্ণভাবে আইওটি নির্ভর হয়ে যাবে। বাসার টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, দরজার লক, বাথরুমের কল থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম হবে এই আইওটি। শহরের ট্রাফিক সিগন্যাল, স্ট্রিটলাইট সিস্টেম, GPS এর আওতায় আসছে। প্রাত্যহিক জীবনের সব কিছুই এই সিস্টেমের আওতায় আনা সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন অবজেক্টের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের জন্য দরকার সেন্সর, ক্যামেরা প্রভৃতি। যেমন ধরা যাক, আপনি বাসার বাইরে চলে গেছেন, প্রচন্ড শীত ঠান্ডায় সব জমে যাচ্ছে। ঘরের হিটারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে রেখেছেন। কিন্তু দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়তে থাকল এবং ক্রমে ১৫ ডিগ্রিতে পৌছাঁল। ঘরের বাইরের থার্মোমিটারে একটি বিশেষ চিপ লাগানো আছে। সেখান থেকে সব সময় তাপমাত্রার খবর ঘরে পাঠানো হচ্ছে। ঘরের ভিতরের হিটারের সেন্সর সেটা ধরতে পারছে। যখন বুঝলো বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে ১৫ ডিগ্রি, তখন হিটার তার তাপমাত্রা কমিয়ে আনল। একই সঙ্গে সে আপনার কাছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির তথ্য পাঠিয়ে দিল।
আমেরিকার বিশাল প্রান্তরে গরু চরানোর সময় আইওটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। গরুর কানে একটা করে চিপ লাগানো থাকে। ওদের নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চরে বেড়ানোর কথা। সেই সীমার কাছাকাছি গেলে গরুর শরীরে মৃদু শক লাগবে। গরু ফিরে আসবে। গরু সারাদিন কোন দিকে যাচ্ছে, সব খবর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আসছে।
ভবিষ্যতে পৃথিবীর মানুষ সম্পূর্ণভাবে আইওটি নির্ভর হয়ে যাবে। বাসার টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, দরজার লক, বাথরুমের কল থেকে শুরু করে বিনোদনের মাধ্যম হবে এই আইওটি। শহরের ট্রাফিক সিগন্যাল, স্ট্রিটলাইট সিস্টেম, GPS এর আওতায় আসছে। প্রাত্যহিক জীবনের সব কিছুই এই সিস্টেমের আওতায় আনা সম্ভব।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাই সংযোগ এবং স্মার্টফোন এর কারণে আইওটির সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইওটির ভিত্তি তৈরি করেছে তিনটি ঘটনা।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২১ সালের মধ্যে IoT-তে বিভিন্নভাবে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা দাড়াবে আড়াই হাজার কোটির বেশি। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞর মতে, সংখ্যাটা হতে পারে আরও অনেক বেশি। সেটা ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর এই সংখ্যা যত বাড়বে, আইওটি বিপ্লব মানুষের জীবনে তত বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।
- প্রথমত: ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ।
- দ্বিতীয়ত: মানুষের সাথে বিভিন্ন প্রাণী, বস্তু বা সরঞ্জামের (অবজেক্ট) যোগাযোগ। যেমন- খামারের গরু, হাঁস-মুরগি, গাড়ি, রান্নাঘরের ওভেন প্রভৃতি।
- তৃতীয়ত: বিভিন্ন অবজেক্টের মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০২১ সালের মধ্যে IoT-তে বিভিন্নভাবে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যা দাড়াবে আড়াই হাজার কোটির বেশি। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞর মতে, সংখ্যাটা হতে পারে আরও অনেক বেশি। সেটা ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর এই সংখ্যা যত বাড়বে, আইওটি বিপ্লব মানুষের জীবনে তত বেশি সুযোগ সৃষ্টি করবে।
Social Plugin