এসএসসি বাংলা ১ম পত্র (অভাগীর স্বর্গ )

 

📚 Zahidul Saad Classroom -এ আপনাকে স্বাগতম! 🎉

আপনার একাডেমিক ও ভর্তি প্রস্তুতিকে আরও সহজ এবং সফল করতে আমরা এনেছি প্রয়োজনীয় বই ও নোটের সমৃদ্ধ সংগ্রহ। 📖✨

এখানে এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন গুরুত্বপূর্ণ সকল বই ও নোটের PDF, যা আপনার পড়াশোনাকে করবে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী। 🚀💡

শিক্ষা হোক সবার জন্য সহজলভ্য! 🌟


এসএসসি বাংলা ১ম পত্র

অভাগীর স্বর্গ

বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নসমূহ

০১। অধর রায় গাছের দাম কয় টাকা আনতে বলে? [রা.বো.'২৪]
(a) তিন
(b) চার
(c) পাঁচ
(d) ছয়

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
'মহেশ' গল্পে গফুর ব্রাহ্মণ তর্করত্নের পায়ের কাছে বসিয়া কাহন-দুই খড় ধার চাহিতে গেলে তর্করত্ন তীরবৎ পিছাইয়া গিয়া কহিলেন, "আ মর, ছুয়ে ফেলবি না কি?"

০২। উদ্দীপকে তর্করত্নের আচরণে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
[চ.বো.'২৪]
(a) সামন্তবাদ
(b) জাতিভেদ
(c) নিপীড়ন
(d) পণপ্রথা

০৩। উক্ত দিকটি প্রকাশ পেয়েছে যে বাক্যে- [চ.বো.'২৪]
(i) মুখে একটু নুড়ো জ্বেলে দিয়ে নদীর চড়ায় মাটি দেগে
(ii) সব ব্যাটারাই এখন বামুন-কায়েত হতে চায়।
(iii) দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনি?
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

০৪। 'ও রে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে!' এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
[ব.বো.'২৪]
(a) নিচু শ্রেণির অবস্থা
(b) সামন্ত শ্রেণির দৌরাত্ম্য
(c) পরিচ্ছন্নতার লক্ষণ
(d) প্রচলিত রীতিনীতি

০৫। কাঙালীর মায়ের মৃতদেহ সৎকারের কাঠ জোগাড় করতে না পারার কারণ- [ব.বো. ২৪]
(i) দরিদ্রতা
(ii) উঁচু শ্রেণির নিষ্ঠুরতা
(iii) জাতি বৈষম্য
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

০৬। 'আয় তোকে রূপকথা বলি'- 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে কথাটি কেন বলা হয়েছে?[কু.বো.'২৪]
(a) সন্তানকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য
(b) সন্তানকে স্বপ্ন দেখানোর জন্য
(c) সন্তান বাৎসল্যের কারণে
(d) সন্তানের অনুরোধ রক্ষায়

০৭। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে কুটির প্রাঙ্গণে কী গাছ আছে? [ম.বো.'২৪]
(a) তাল
(b) বরই
(c) বেল
(d) জলপাই

০৮। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের গতিশীল চরিত্র কোনটি? [ম.বো. '২৪]
(a) অভাগী
(b) কাঙালী
(c) রসিকদুলে
(d) ঠাকুর দাস

০৯। "ক্যাঙলার মার মত সতী-লক্ষ্মী আর দুলে পাড়ায় নেই"- উক্তিটি কার?[ঢা.বো.'২০]
(a) বিন্দির মার
(c) নাপিত বউ
(b) বিন্দির পিসির
(d) রাখালের পিসির

১০। "কালো আর ধলো বাহিরে কেবল ভিতরে সবার সমান রাঙা"- এ উক্তির বিপরীত বৈশিষ্ট্য 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কোন চরিত্রে দেখা যায়?[রা.বো.'২০]
(a) অধর রায়
(c) ঠাকুর দাস
(b) অভাগী
(d) কাঙালী

১১। দারোয়ানটা কাঙালীর গায়ে হাত দিল না কীসের ভয়ে?[চ.বো.'২০]
(a) জমিদারের
(b) জাত যাওয়ার
(c) অশৌচের
(d) পেয়াদার

১২। "তোর হাতের আগুন যদি পাই বাবা, বামুন-মার মত আমিও সগ্যে যেতে পাবো"- উক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?[য.বো.'২০]
(a) ধর্ম বিশ্বাস
(b) কুসংস্কার
(c) সন্তানবাৎসল্য
(d) শোককাতরতা

১৩। কাঙালীকে কে গলাধাক্কা দিল?[ব.বো.'২০]
(a) অধর রায়
(b) পাঁড়ে
(c) দারোয়ান
(d) ঠাকুরদাস

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
মহেশের জন্য খড় ধার চাইতে গিয়ে গফুর এক সময় তর্করত্নের পা ছুঁইতে যায়। তর্করত্ন তীরবৎ দুই হাত পিছাইয়া গিয়া বলিয়াছিল, "আ মর! ছুঁয়ে ফেলবি নাকি।"
১৪। উদ্দীপকে ফুটে ওঠা ভাবটি নিচের কোন রচনায় বিদ্যমান?[কু.বো.'২০]
(a) বই পড়া
(b) অভাগীর স্বর্গ
(c) উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
(d) আম-আঁটির ভেঁপু

১৫। ফুটে ওঠা ভাবটি হলো-[কু.বো.'২০]
(a) অমানবিক আচরণ
(b) দারিদ্র্য
(c) শ্রেণিবৈষম্য
(d) সাম্প্রদায়িকতা

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও: 
জরিনা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী করিম মণ্ডলের বাড়িতে। মেয়ে সুমী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফল করার পর পড়াশুনার ব্যাপারে পরামর্শ চাইলেন। করিম মণ্ডলের স্ত্রীর কাছে পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন, মাইয়‍্যারে জজ- ব্যারিস্টার না বানাইয়া কাজে দিয়া দাও।
১৬। করিম মণ্ডলের স্ত্রীর মানসিকতার সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র- [দি.বো.'২০]
(a) ঠাকুর দাস মুখুয্যে মহাশয়
(b) দারোয়ান
(c) মুখুয্যে মহাশয়ের বড় ছেলে
(d) অধর রায়

১৭। উক্ত সাদৃশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বাক্য নিচের কোনটি? [দি.বো.'২০]
(a) যা যা এখানে কিছু হবে না
(b) মাকে পোড়াবি তো গাছের দাম পাঁচ টাকা আনগে
(c) একি তোর বাপের গাছ আছে যে কাটতে লেগেছিস
(d) সব ব্যাটারাই বামুন কায়েত হতে চায়

১৮। 'ওরে কে আছিস রে, এখানে একটু গোবরজল ছড়িয়ে দে'- এ বাক্যে গোবরজল ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ কী?
[সি.বো.'২০]
(a) গোবরজল দিয়ে ভালো পরিষ্কার হয়
(b) কাঙালীকে অপমান করা
(c) কাঙালীকে তাড়িয়ে দেওয়া
(d) ছোট জাত বলে ঘৃণা করা

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
শিল্পপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দারোয়ানের চাকরি করে বৃদ্ধ তাপস। নিচু জাতের বলে কখনো দারোয়ানকে অবজ্ঞা করেননি অসিত চট্টোপাধ্যায়। 'তাপসদা' বলেই সম্বোধন করেন তিনি দারোয়ানকে। বয়োবৃদ্ধ তাপস এক সময় কাজ করার সামর্থ্য হারিয়ে তার ছেলেকে নিজের স্থলে নিয়োগের জন্যে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। কিন্তু একদিন গাড়ি ধুতে গিয়ে গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙে ফেলে ছেলেটি। এতে ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে তাপস।
১৯। উদ্দীপকের অসিত চট্টোপাধ্যায় 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কোন চরিত্রের বিপরীত?[রা.বো.'১৯]
(a) দারোয়ান
(b) অধর রায়
(c) ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়
(d) পাঁড়ে

২০। উদ্দীপকের তাপসকে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের অভাগীর বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলা যায়, কারণ তারা উভয়েই-
(i) দায়িত্বশীল
(ii) সন্তানবৎসল
(iii) শঙ্কাগ্রস্ত
নিচের কোনটি সঠিক?  [রা.বো.'১৯]
(a) i
(b) ii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

২১।'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে মা কাঙালীকে কার কাছ থেকে আলতা আনাতে বলেছিল? [চ.বো. ১৯]
(a) বিন্দির পিসি
(c) বামুন মা
(b) রাখালের মা
(d) নাপতে-বৌদি

২২। 'দুলো দুলের মড়ার কাঠ কী হবে শুনি?' উক্তিটিতে অধর রায়ের কোন মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে?[সি.বো.'১৯]
(a) অবজ্ঞা
(b) ঘৃণা
(c) অহংকার
(d) তিরস্কার

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
সাদিদ বাগেরহাট পিসি কলেজে পড়ে। মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে রাতেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গভীর রাতে বাড়ির নিকটে নদীর তীরে পৌঁছায়। নদীতে পারাপারের নৌকা না পেয়ে সাঁতার কেটে নদী পার হয়ে বাড়িতে আসে।
২৩। উদ্দীপকের সাদিদ চরিত্রটি 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কাকে প্রতিনিধিত্ব করে? [ব.বো. '১৯]
(a) জমিদার
(b) রসিক বাঘ
(c) গোমস্তা
(d) কাঙালী

২৪। উক্ত চরিত্রে ফুটে উঠেছে- [ব.বো.১৯]
(i) মায়ের প্রতি ভালোবাসা
(ii) মায়ের প্রতি কর্তব্যবোধ
(iii) মায়ের ঋণ পরিশোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

২৫। 'আর একটি প্রাণী দূরে থাকিয়া এই দলের সঙ্গী হইল'- এখানে অভাগীকে 'প্রাণী' বলে উল্লেখ করার কারণ- [য.বো.১৯]
(i) ছোটজাত বলে অবজ্ঞার পাত্র
(ii) নারী বলে অবহেলিত
(iii) দরিদ্র বলে উপেক্ষিত
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i
(b) ii
(c) i, ii
(d) ii, iii

২৬। রসিক বেলগাছটি কাটতে গেলে দারোয়ান বাধা দেয়ার কারণ-[দি.বো.১৯]
(i) দুলের মড়া পোড়ানোর নিয়ম নেই
(ii) বেলগাছটির মালিক জমিদার
(iii) গোমস্তার অনুমতি নেয়নি
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i
(b) ii
(c) i, ii
(d) ii, iii

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
ভগবানের ফৌজদারি কোর্ট নাই সেখানে জাত বিচার পৈতে টিকিটুকি টোপর সব সেথা ভাই একাকার জাত সে শিকেয় তোলা রবে, কর্ম নিয়ে বিচার হবে, বামুন চাঁড়াল এক গোয়ালে, নরক কিংবা স্বর্গে থোওয়া।

২৭।উদ্দীপকটি তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন রচনাটিকে ইঙ্গিত করছে?[সকল বোর্ড' ১৮]
(a) নিরীহ বাঙালি
(b) অভাগীর স্বর্গ
(c) মমতাদি
(d) আম-আঁটির ভেঁপু

২৮। উক্ত রচনায় প্রকাশ পেয়েছে- [সকল বোর্ড' ১৮]
(i) সামন্তবাদের নির্মম রূপ
(ii) নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন
(iii) শ্রমজীবীদের প্রতি সহানুভূতি
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i
(b) ii
(c) i, ii
(d) ii, iii

২৯। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে উপস্থাপিত ভাবের তাৎপর্য -[ঢা.বো.'১৭]
(i) সামন্তবাদের নির্মম রূপ
(ii) হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা
(iii) একজন রোগক্লিষ্ট মানুষের যাপিত জীবন
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i
(b) i, ii
(c) iii
(d) ii, iii

৩০। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অত্যন্ত দরদী ভাষায় উপস্থাপন করেছেন- [রা.বো.'১৭]
(i) সামন্তবাদের নির্মম চিত্র
(ii) নিচু শ্রেণির মানুষের দুঃখ কষ্ট ও যন্ত্রণা
(iii) উঁচু শ্রেণির মৃতের অনাড়ম্বর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) ii, iii
(c) i, iii
(d) i, ii, iii

৩১। 'সব ব্যাটারাই এখন বামুন কায়েত হতে চায়'-গল্পে এ বক্তব্যে কোন ভাব ফুটে উঠেছে? [চ.বো.'১৭]
(a) বিরক্তি
(b) ক্রোধ
(c) ক্ষোভ
(d) বিদ্রূপ

৩২। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ডি.লিট উপাধি প্রদান করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়? [য. বো.'১৭]
(a) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(b) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
(c) ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
(d) রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
পূজার সময় যেমন খাঁ পাড়ার কুদ্দুস, সেলিনা, কামালরা হিন্দু পাড়ায় যায়, তেমনি ঈদের দিন অরুণ, মালতী, ভবেশরা খাঁ পাড়ায় আসে। খায়-দায়, আনন্দে মাতে। রহমতপুরের মানুষ যেন একে অপরের স্বজন।
৩৩। উদ্দীপকের ভাববস্তুর সাথে নিচের কোন রচনার বিষয়বস্তুর বৈপরীত্য লক্ষ করা যায়? [দি.বো.'১৭]
(a) পয়লা বৈশাখ
(b) অভাগীর স্বর্গ
(c) আম-আঁটির ভেঁপু
(d) মমতাদি

৩৪। উল্লিখিত রচনায় ফুটে উঠেছে- [দি.বো.'১৭]
(i) সামন্তবাদের নির্মম চিত্র
(ii) অগাধ পতিভক্তির পরিচয়
(iii) সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

৩৫। "দাও বাবা, দাও একটু  পায়ের ধুলো"। - এ কথা কে বলেছিলেন?[সি.বো.'১৭]
(a) কাঙালী
(b) ঈশ্বর নাপিত
(c) বিন্দির পিসি
(d) রাখালের মা

বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্র্যাক্টিস প্রবলেম

৩৬।'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের যে চরণে সামন্তবাদের নির্মমরূপ প্রকাশ পেয়েছে-
(i) মাকে পোড়াবি ত গাছের দাম পাঁচটা টাকা আনগে
(ii) যা, মুখে একটু নুড়ো জ্বেলে দিয়ে নদীর চড়ায় মাটি দে গে
(iii) শালা, একি তোর বাপের গাছ যে কাটতে লেগেছিস
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i, ii
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

৩৭। অধর রায়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
(a) ন্যায়পরায়ণতা
(b) কর্তব্যপরায়ণতা
(c) নিষ্ঠুরতা
(d) ধৈর্যশীলতা

৩৮। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে কে নাড়ি দেখতে জানত?
(a) কবিরাজ
(b) রাখালের মা
(c) অধর রায়
(d) ঈশ্বর নাপিত

৩৯।কাঙালীর মায়ের চরিত্রটি কীসের প্রতীক?
(a) হৃদয়হীনতার
(b) দারিদ্র্যের
(c) দুর্ভাগ্যের
(d) নিষ্ঠুরতার

নিচের উদ্দীপকের আলোকে পরবর্তী দুইটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
সাগরের পিতা মারা যাওয়ার পর সাগরের মা দ্বিতীয় বিয়ে করে। অসহায় সাগর মাতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়ে তার খালার কাছে বড় হতে থাকে।
৪০। সাগরের মা 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কোন চরিত্রের পরিপন্থি?
(a) কাঙালী
(b) রাখালের মা
(c) অভাগী
(d) অভাগীর মা

৪১।যে দিক থেকে উক্ত চরিত্র দুটি একে অন্যের পরিপন্থি-
(i) সন্তান বাৎসল্য
(ii) মাতৃভক্তি
(iii) পিতৃভক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
(a) i
(b) i, iii
(c) ii, iii
(d) i, ii, iii

৪২।ঠাকুরদাস মুখুয্যের সন্তানাদির সংখ্যা কত ছিল?
(a) ৮
(b) ৫
(c) ৩
(d) ৭

৪৩।হিন্দুস্থানি দারোয়ান কাঙালীকে মারতে গিয়েও মারল না কেন?
(a) অশৌচের ভয়ে
(b) দয়াপরবশ হয়ে
(c) পাপের ভয়ে
(d) শাস্তির ভয়ে

৪৪।শরৎচন্দ্র কত সালে মায়ানমার যান?
(a) ১৯০১ সালে
(b) ১৯০২ সালে
(c) ১৯০৫ সালে
(d) ১৯০৩ সালে

৪৫। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে লেখক কাকে অনভিজ্ঞ বলেছেন?
(a) অভাগীকে
(b) কাঙালীকে
(c) রসিককে
(d) অভাগীর মাকে

৪৬। কে অপটু হাতে ভাত রাঁধতে প্রস্তুত হলো?
(a) কাঙালী
(b) বিন্দির পিসি
(c) রাখালের পিসি
(d) ঈশ্বর নাপিত

৪৭।বিন্দির পিসি কোনটি একটি টাকায় বাঁধা দিতে গিয়েছিল?
(a) বেলগাছ
(b) উত্তরীয়
(c) ভাত খাইবার পিতলের কাঁসি
(d) ঘটি

৪৮। মুষ্টিযোগ কী?
(a) যুদ্ধ
(b) ভাঙা থালা
(c) টোটকা চিকিৎসা
(d) বিকৃত চেহারা

৪৯। "ভাগ্যিমানী মা, তুমি সগ্যে যাচ্চো- আমাকেও আশীর্বাদ করে যাও"-উক্তিটি কার?
(a) কাঙালীর
(b) কাঙালীর মার
(c) ঠাকুর দাসের স্ত্রীর
(d) ঈশ্বর নাপিতের

৫০। রসিক বেল গাছটি কী কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল?
(a) অভাগীর শবদাহ
(b) ঘরবাড়ি তৈরি
(c) রান্নার কাঠ সংগ্রহ
(d) কাঙালীর জন্য

জ্ঞানমূলক CQ প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ CQ প্রশ্নসমূহ

০১। অভাগীকে নদীর চড়ায় মাটি দিতে বলেছিল কে?[ঢা.বো.'১৯]
উত্তর: ভট্টাচার্য মহাশয় অভাগীকে নদীর চড়ায় মাটি দিতে বলেছিল।

০২। গ্রামে কে নাড়ি দেখতে জানত?[সকল.বো.'১৮, রা.বো.'১৭]
উত্তর গ্রামে ঈশ্বর নাপিত নাড়ি দেখতে জানতো।

০৩। ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী কয়দিনের অসুখে মারা গেলেন?[সি.বো., ঢা.বো. '১৭]
উত্তর ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী সাতদিনের অসুখে মারা গেলেন।

০৪। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে কোন পদক প্রদান করেছিল?[য.বো..ব.বো.'১৭]
উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে জগত্তারিণী পদক প্রদান করেছিল।

০৫। 'সব ব্যাটারাই এখন বামুন-কায়েত হতে চায়' কথাটি কে বলেছিল?[দি.বো.'১৭]
উত্তর কথাটি বলেছিল মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বড় ছেলে।

বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ CQ প্র্যাক্টিস প্রবলেম

০১। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে গ্রামের স্থানীয় কাছারির কর্তা কে?
উত্তরঃ  'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে গ্রামের স্থানীয় কাছারির কর্তা গোমস্তা অধর রায়।

০২। 'অন্তরীক্ষ' শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ  'অন্তরীক্ষ' শব্দের অর্থ আকাশ।

০৩। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে বর্ণিত বেলগাছটি কার হাতের পোঁতা?
উত্তরঃ 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে বর্ণিত বেলগাছটি অভাগীর হাতের পোঁতা।

০৪। কাঙালী কোন ঘরের ছেলে?
উত্তরঃ  গরিব-দুখী নিচু শ্রেণির ছেলে কাঙালী।

০৫। 'অশন' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তরঃ  'অশন' শব্দটির অর্থ হলো খাদ্যদ্রব্য।

অনুধাবনমূলক CQ প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর

বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ CQ প্রশ্নসমূহ

০১। মাকে বিশ্বাস করাই কাঙালীর অভ্যাস কেন? [ঢা.বো.'১৯]
উত্তরঃ  শিশুকাল থেকে মাকে বিশ্বাস করার শিক্ষালাভ করেছে বলে মাকে বিশ্বাস করাই কাঙালীর অভ্যাস। ঠাকুরদাস মুখুয্যের স্ত্রী মারা গেলে যখন তার শবদাহ করা হয়, তা দেখে কাঙালীর মা কাঙালীকে বলে যে, তিনি রথে করে স্বর্গে গেছেন। বস্তুত কথাটি ভিত্তিহীন ও অমূলক। কিন্তু ছোটবেলা থেকে কেবল মা ছাড়া আর কারও সান্নিধ্য লাভ না করায় সে যত আশ্চর্য কথাই বলুক তা কাঙালী বিশ্বাস করতেই শিখেছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

০২। "মা মরেছে ত যা নিচে নেবে দাঁড়া"-অধর রায়ের এরূপ উক্তির কারণ কী?[সকল.বো.'১৮]
উত্তর: নিচু জাতের মানুষের প্রতি ঘৃণার কারণে অধর রায় কাঙালীকে নিচে নেমে দাঁড়াতে বলে।
মৃত মায়ের সৎকারের জন্য কাঠ সংগ্রহের আশায় কাঙালী অধর রায়ের কাছারি বাড়িতে একেবারে উপরে এসে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মৃতের বাড়ি থেকে আসায় সম্ভাব্য অশৌচের ভয়ে এবং জাতি বৈষম্যের কারণে অধর রায় তাকে নিচে নেমে দাঁড়াতে বলে এবং তার দাঁড়ানোর জায়গায় গোবরজল ছিটিয়ে দিতে বলে।

০৩। রসিক দুলে তার পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলল কেন? [সি.বো., ঢা.বো.'১৭]
উত্তর: অভাগীর মত পতিভক্ত স্ত্রীর প্রতি করা বৈষম্যের কথা ভেবে মৃত্যুশয্যায় তাকে পায়ের ধুলো দিতে গিয়ে রসিক কেঁদে ফেলল। অভাগীকে বিয়ের পর পরই রসিক অন্য গ্রামে উঠে যায়। এরপর সে আর অভাগীর খোঁজ খবর নেয়নি। অথচ সেই অভাগী নিজের মৃত্যুকালে রসিকের পায়ের ধুলো চাইলে নিজের কৃতকর্মের কথা ভেবে সে অনুশোচনায় কেঁদে ফেলল।

০৪। অভাগীর জীবন-নাট্যের শেষ অঙ্ক বলতে কী বোঝানো হয়েছে? [য.বো., ব.বো.'১৭]
উত্তর: জলের অভাগীর জীবন-নাট্যের শেষ অঙ্ক বলতে মূলত তার মৃত্যুকালের কথা বলা হয়েছে।
অভাগীর জীবনকাল খুব বেশি বিস্তৃত ছিল না। বড়জোর বছর ত্রিশের ছিল। এরই মাঝে সে জীবনের বহু চড়াই-উতরাই পার করে এসে জীবনের অন্তিম মুহূর্তে উপস্থিত হয়েছে। বাবা-মায়ের মৃত্যু, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, একা একা সন্তান লালন-পালন অভাগীর জীবনে এসবের অভিজ্ঞতা একটি নাটকের থেকে কম রোমাঞ্চকর ছিল না। তার মৃত্যুর সময়টাকে তাই এই নাটকেরই অন্তিম পর্ব বলা হয়েছে।

০৫। নাপিত কাঙালীর মায়ের হাত দেখে মুখ গম্ভীর করল কেন?[দি.বো.'১৭]
উত্তরঃ  কাঙালীর মায়ের মৃত্যু আসন্ন বুঝতে পেরে নাপিত মুখ গম্ভীর করল।
অভাগীদের গ্রামে একমাত্র ঈশ্বর নাপিত নাড়ি দেখতে জানত। অভাগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত তাকে খবর দেয়া হয়। নাপিত নাড়ি দেখে অভাগীর শারীরিক দুরবস্থার কথা বুঝতে পারেন এবং তার মৃত্যু আশঙ্কায় মুখ গম্ভীর করেন।

বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ CQ প্র্যাক্টিস প্রবলেম

০১। 'অভাগীর জীবন-নাট্যের শেষ অঙ্ক পরিসমাপ্ত হইতে চলিল।' উক্তিটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: এই উক্তিতে বোঝানো হয়েছে যে অভাগীর জীবনের শেষ সময় আসন্ন। তার জীবনের সকল কষ্ট এবং সংগ্রাম শেষ হতে চলেছে, অর্থাৎ তার মৃত্যু নিকটবর্তী। এটি একটি রূপক উক্তি যা জীবনের শেষ পর্ব বা অধ্যায়ের সমাপ্তির দিকে ইঙ্গিত করে।

০২। 'রসিক হতবুদ্ধির মত দাঁড়াইয়া রহিল কেন?
উত্তরঃ  রসিক হতবুদ্ধির মত দাঁড়াইয়া রহিল কারণ সে জমিদারের গোমস্তা রামলোচনের আচরণে এবং তার পরিবারের প্রতি অত্যাচারে অত্যন্ত হতবুদ্ধি ও হতাশ হয়ে পড়ে। রামলোচন অভাগীর মৃতদেহ দাহ করতে বাধা দেয় এবং তার অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতা দেখে রসিক নির্বাক হয়ে যায়।

০৩। 'কাঙালীর মার জীবনের ইতিহাস ছোট।' বিষয়টি বুঝিয়ে লিখো।
উত্তরঃ  'কাঙালীর মার জীবনের ইতিহাস ছোট' বলতে বোঝানো হয়েছে যে তার জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য খুব কমই ছিল এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল দুঃখ ও কষ্টে ভরা। তার জীবনে কোনো বিশেষ সাফল্য বা উল্লেখযোগ্য ঘটনা নেই, বরং তার পুরো জীবনটাই ছিল দৈন্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাটানো। তিনি সবসময় বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করেছেন এবং তার জীবনে কোনো সুখ-সমৃদ্ধি বা স্থিতিশীলতা ছিল না।

০৪। 'তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব'- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর;  উক্তি দ্বারা মৃত্যুর পর ছেলের হাতের আগুন পাওয়ার প্রচলিত রীতি ও তীব্র ধর্ম বিশ্বাস প্রকাশিত হয়েছে।
'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের অভাগী প্রচলিত রীতি-নীতি ও ধর্মীয় সংস্কার মেনে চলে। মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের স্ত্রীর শেষকৃত্যের সময় তার ছেলেরা তার মায়ের মুখাগ্নি করে। অভাগী মনে করে ছেলের হাতের আগুন পেলে মানুষ স্বর্গে যায়। তাই মৃত্যুশয্যায় সেও তার ছেলের কাছে আবদার করে, কাঙালী যেন তার শেষকৃত্যের সময় তার মুখে আগুন দেয়, তাহলে সেও স্বর্গে যেতে পারবে।

প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক সৃজনশীল প্রশ্ন

বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ CQ প্রশ্নসমূহ

০১। চেয়ারম্যান সাহেবের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিরাট আয়োজন। এলাকার ধনী-গরিব সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। দরিদ্র কৃষক খয়ের আলী, ছেলে রনি ও মেয়ে রেণুকে নিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বসার স্থানে ভুল করে খেতে বসেছেন। চেয়ারম্যানের স্ত্রী চিৎকার করে বললেন, 'এসব অসভ্য ছোটলোকদের দাওয়াত দেওয়াই ভুল হয়েছে।' চেয়ারম্যান সাহেব স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললেন, 'এরা সকলেই আমার মেহমান।' তিনি রনি ও রেণুকে আদর করলেন এবং স্ত্রীর আচরণের জন্য খয়ের আলীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করলেন।   [ঢা.বো.'১৯]
 
(গ) উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের স্ত্রীর আচরণে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) "সমাজের ধনী ব্যক্তিরা যদি উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের মত হতো তাহলে অভাগীকে বৈষম্যের শিকার হতে হতনা।"- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 

০২। সাপ ধরার মন্ত্র শিখে মৃত্যুঞ্জয় মস্তবড় সাপুড়ে হয়ে উঠল। একদিন সাপ ধরতে গেলে, বিষধর সাপের দংশনে সে আহত হয়। তার শ্বশুরের দেওয়া সব তাবিজ-কবজ তার হাতে বেঁধে দেওয়া হলো আর সেই সাথে বহু সংখ্যক ওঝা মিলে বহু দেব-দেবীর দোহাই এবং ঝাড়ফুঁক করেও তাকে বাঁচাতে পারলো না।        [সকল.বো.'১৮]

(গ) উদ্দীপকে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের যে বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) "উদ্দীপকে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের একটি বিশেষ দিকের প্রতিফলন ঘটলেও গল্পের মূল বিষয়টি অনুপস্থিত।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ CQ প্র্যাক্টিস প্রবলেম

০৩। এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বারোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশায় সব ধরে রাখলেন কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পনদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গোঁজাগাঁজা দিয়ে এ বর্ষা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে।
(গ) উদ্দীপকে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) 'কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না।'- মন্তব্যটি, যথার্থতা নিরূপণ কর।

প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান

 বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ CQ প্রশ্নসমূহের সমাধান

১ (গ) প্রশ্নের সমাধান 

 উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের স্ত্রীর আচরণে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে উল্লিখিত জাতিগত ভেদাভেদ ও শ্রেণিবৈষম্যের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সাহেব তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে এলাকার ধনী-গরিব সবাইকে দাওয়াত দেন। এলাকার দরিদ্র কৃষক খয়ের আলী দাওয়াতে এসে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে খেতে বসলে চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রী রেগে যান এবং বলেন "এসব অসভ্য ছোটলোকদের দাওয়াত দেওয়াই ভুল হয়েছে।" তার এরূপ আচরণে তার চরিত্রে বিদ্যমান চরম শ্রেণিবৈষম্যের দিকটি প্রকাশ পায়। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পেও আমরা এরূপ শ্রেণিবৈষম্যের চিত্র দেখতে পাই। অভাগী নিচু জাতের মেয়ে হওয়ায় সে কাছে গিয়ে ঠাকুর মশাইয়ের স্ত্রীর শবদাহ দেখতে পারে না। তার মৃত্যুর পর তার সৎকারের জন্য কাঙালী কাঠ জোগাড় করতে গেলে কেউ তাকে সাহায্য করে না। ভট্টাচার্য মশায়, অধর রায় কাঙালীকে তার মাকে নদীর চড়ায় পুঁতে ফেলতে বলে। এছাড়াও, কাঙালীর উপস্থিতিও উঁচু জাতের মানুষ সহ্য করতে পারে না। কাঙালী কাছারি বাড়িতে যেখানে দাঁড়ায় অধর রায় সেখানে গোবরজল ছড়িয়ে দিতে বলে। তাদের এসকল কাজে গল্পটিতে তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান বর্ণ প্রথা ও ব্যাপক শ্রেণিবৈষম্যেরই পরিচয় পাওয়া যায় যা উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের স্ত্রীর আচরণেও লক্ষণীয়।

১ (ঘ) প্রশ্নের সমাধান 

'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে ফুটে ওঠা শ্রেণিবৈষম্যের দিকটি লক্ষ করে এ কথা স্বীকার্য যে, সমাজের ধনী ব্যক্তিরা যদি উদ্দীপকের চেয়ারম্যান সাহেবের মতো উদার হতো তাহলে অভাগীকে বৈষম্যের শিকার হতে হতো না।
'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে আমরা শ্রেণিবৈষম্যের চরম রূপ দেখতে পাই। গল্পে আমরা দেখি নিচু জাতের মেয়ে অভাগী এবং তার ছেলে কাঙালী তাদের জাতিগত অবস্থানের কারণে সমাজে বৈষম্যের শিকার। এর প্রকটতা যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা দেখা যায় অভাগীর মৃত্যুর পর।
অসুখে ভুগে অভাগী মারা গেলে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মুখাগ্নির জন্য রসিক দুলে উঠানের বেল গাছটা কাটতে গেলে জমিদারের দারোয়ান তাকে আঘাত করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। এ ঘটনা দেখে কাঙালী জমিদারের গোমস্তা অধর রায়ের কাছে নালিশ জানাতে গেলে সে তাকে নিচে নেমে দাঁড়াতে বলে এবং চাকরদের তার দাঁড়িয়ে থাকার জায়গায় গোবরজল ছড়িয়ে দিতে বলে। ভট্টাচার্য মহাশয় অভাগীকে নদীর চড়ায় পুঁতে ফেলতে বলে। ঠাকুরদাস মুখুয্যের বড় ছেলে কাঙালীকে কটাক্ষ করে। এতসব বৈষম্য এবং ধনিক শ্রেণির মানুষদের অমানবিক আচরণের ফলে শেষ পর্যন্ত কাঙালী অভাগীর মুখাগ্নি করতে পারেনি।
কিন্তু উদ্দীপকে দেখা যায়, চেয়ারম্যান সাহেব তাঁর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলকেই দাওয়াত করেন। দরিদ্র কৃষক খয়ের আলী ও তার পরিবার গণ্যমান্য মানুষদের সাথে বসে খাবার খাওয়ার তাঁর স্ত্রী রাগ করলেও তিনি তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেন এবং স্ত্রীর আচরণের জন্য ক্ষমা চান। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের ধনী লোকেরাও যদি এরূপ মহৎ হতো তাহলে হয়তো অভাগীও চিতার আগুন পেত। তাকে নদীর চড়ায় সমাহিত হতে হতো না। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

২ (গ) প্রশ্নের সমাধান 

গ্রামীণ সমাজে প্রচলিত নানা অন্ধ বিশ্বাস এবং শেষ পর্যন্ত অভাগীর করুণ পরিণতি বরণের দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের সাদৃশ্য বিদ্যমান।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বিষধর সাপের দংশনে মৃত্যুঞ্জয় আহত হলে তার সুস্থতার জন্য তার হাতে তাবিজ-কবজ বেঁধে দেয়া হয়। বহুসংখ্যক ওঝারা মিলে দেব-দেবীর দোহাই দেয় এবং ঝাড়ফুঁক করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মৃত্যুঞ্জয়কে বাঁচাতে পারে না।
'অভাগীর স্বর্গ' গল্পেও দেখা যায়, অভাগী অসুস্থ হলে তার সুস্থতার জন্য প্রতিবেশীরা নানারকম পরামর্শ দেয়। যেমন, হরিণের শিঙ ঘষা জল, গেঁটে কড়ি পুড়িয়ে মধুতে মাড়িয়ে চাটিয়ে দেয়া ইত্যাদি। কাঙালীও তার মায়ের সুস্থতার জন্য অন্য গ্রামের কবিরাজের কাছ থেকে ঔষধ আনে। কিন্তু এতসব চেষ্টার পরও শেষ পর্যন্ত অভাগীকে বাঁচানো যায় না। সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এভাবে উদ্দীপক ও 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে নিয়তির কাছে মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।গ

২ (ঘ) প্রশ্নের সমাধান

'অভাগীর স্বর্গ' গল্পে ফুটে ওঠা জাতিভেদ ও শ্রেণিবৈষম্যের বিষয়টি উদ্দীপকে অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটিকে যথার্থ বলা যায়। উদ্দীপকে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নিয়তির কাছে মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণের দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। 'অভাগীর স্বর্গ' গল্পের অভাগীও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত দুর্ভাগ্য তার পথ ছাড়েনি। তাকে জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু, স্বামীর তাকে ছেড়ে চলে যাওয়া, কাঙালীকে একা মানুষ করা এবং শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু-এ সবকিছুই তার দুর্ভাগ্যের পরিচয় বহন করে।
কিন্তু এটিই গল্পটির একমাত্র দিক নয়। অভাগী ও কাঙালী চরিত্রের মধ্য দিয়ে লেখক জাতিভেদ প্রথা এবং জমিদার ও উঁচুবর্ণের মানুষের শোষণ-নির্যাতনের ছবি এঁকেছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে সকলকে মানবিক হবার শিক্ষাদান করেছেন। গল্পটি পড়ে আমাদের মনে অধর রায়, ভট্টাচার্য মহাশয় বা ঠাকুরদাস মুখুয্যের মতো চরিত্রের প্রতি যেমন ঘৃণা সৃষ্টি হয় একইভাবে অভাগী ও কাঙালীর মতো চরিত্রের জন্য মনে করুণারও সৃষ্টি হয়। মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য কাঙালীর কাঠ সংগ্রহ করার যে চেষ্টা তা আমাদের মনে দাগ কাটে।
সর্বোপরি, শোষণকারী জমিদার জোতদার শ্রেণির অত্যাচার ও উঁচু-নিচু জাতিভেদের যে দ্বন্দু সমাজে বিদ্যমান, তার উর্ধ্বে উঠে গল্পটি আমাদের মানবিক হবার শিক্ষা দান করে যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। এ কারণে বলা যায়, অভাগীর করুণ পরিণতির সাথে উদ্দীপকের মিল থাকলেও এখানে গল্পের মূল বিষয়টি অনুপস্থিত।

বোর্ড পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ CQ প্র্যাক্টিস প্রবলেম সমাধান

৩ (গ) প্রশ্নের সমাধান 

উদ্দীপকে গফুরের পরিস্থিতি এবং তার বক্তব্যের মাধ্যমে সমাজের একটি নিষ্ঠুর ও নির্মম চিত্র ফুটে উঠেছে। গফুর একজন দরিদ্র কৃষক, যার জীবিকা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল কৃষিকাজের উপর। জমিদারের খড়ের প্রয়োজন থাকলেও, বকেয়া খাজনার কারণে গফুরের অনুরোধ অগ্রাহ্য করা হয়। এই ঘটনা আমাদের দেখায়, কীভাবে সমাজের উচ্চবিত্তরা দরিদ্রদের শোষণ করে এবং তাদের প্রতি কোনরূপ সহানুভূতি দেখায় না।
'অভাগীর স্বর্গ' গল্পেও একই ধরনের সমাজচিত্র দেখা যায়। অভাগী একজন দরিদ্র নারী, যে সারাজীবন দারিদ্র্য ও দুর্ভোগের মধ্যে কাটিয়েছে। তার মৃত্যুর পরও তার প্রতি সমাজের অবহেলা ও শোষণ অব্যাহত থাকে। জমিদারের গোমস্তা রামলোচনের দ্বারা অভাগীর পরিবার অত্যাচারিত হয় এবং তার মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেওয়া হয়।
উভয় উদাহরণের মাধ্যমে সমাজের সেই কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়, যেখানে দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের প্রতি অন্যায়, অবিচার এবং শোষণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এদের জীবনে দারিদ্র্য ও কষ্টের চক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন সহজ উপায় নেই, এবং সমাজের উচ্চবিত্তরা তাদের এই অবস্থার সুযোগ নেয়।

৩ (ঘ) প্রশ্নের সমাধান 

'কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না।' মন্তব্যটি যথার্থ।
কাঙালী এবং গফুর উভয়ের মধ্যেই কিছু মিল রয়েছে, কারণ তারা উভয়েই দরিদ্র এবং সমাজের শোষিত অংশের মানুষ। তাদের জীবনে সংগ্রাম ও দুঃখ-দুর্দশা অপরিহার্য বাস্তবতা। তবে, তাদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্যও রয়েছে, যা তাদের চরিত্রগুলোকে পৃথক ও বিশেষভাবে তুলে ধরে।
কাঙালী চরিত্রটি মানবিকতার প্রতীক। সে অভাগীর মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে, যা তার সহানুভূতি ও মানবতার প্রতিফলন। গফুরও একজন সহানুভূতিশীল মানুষ, তবে তার সহানুভূতি প্রধানত তার নিজের এবং তার গরু মহেশের প্রতি কেন্দ্রীভূত। কাঙালী সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়ায়। সে সমাজের বাধা অগ্রাহ্য করে অভাগীর মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে আসে।
গফুর সমাজের শোষণের শিকার হলেও সে সরাসরি প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। সে কেবল নিজের দুঃখ ও কষ্টের কথা জমিদারের কাছে নিবেদন করে।
কাঙালীর মধ্যে মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলার দৃঢ় সংকল্প রয়েছে। সে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভাগীর মৃতদেহ সৎকার করে। গফুরের মধ্যে এই মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতা তেমনভাবে প্রকাশিত হয় না।
উপসংহারে বলা যায়, কাঙালী ও গফুর উভয়েই দরিদ্র ও শোষিত মানুষের প্রতিনিধি হলেও, কাঙালীর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে গফুর থেকে আলাদা করে। কাঙালী শুধুমাত্র দরিদ্র ও শোষিত মানুষের প্রতিনিধি নয়, বরং সে সাহস, মানবতা ও প্রতিবাদের প্রতীক। অন্যদিকে, গফুর কেবল নিজের এবং তার পরিবারের জীবন বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করে, তার মধ্যে কাঙালীর মতো সাহসিকতা ও মানবতার প্রকাশ নেই। তাই বলা যায়, কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না।