পাঠঃ ১ ও ২ ( কমিউনিকেশন সিস্টেম ও ব্যান্ডউইডথ)
কমিউনিকেশন সিস্টেম (Communication System)
কোন কিছুর সাহায্যে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করাই হলো কমিউনিকেশন। কমিউনিকেশন দুই প্রকার-
১. লোকাল কমিউনিকেশন (Local Communication): Local কমিউনিকেশন হয় সামনাসামনি (Face to Face)। লোকাল কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত হতে পারে অক্ষর (Text), কথাবার্তা বা শব্দ (Voice), ইশারা-ইঙ্গিত, অঙ্গ-ভঙ্গি।
২. রিমোট কমিউনিকেশন (Remote Communication): Remote কমিউনিকেশন হয় দূরবর্তী স্থানের মধ্যে (Long Distance)। Remote কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত হয় অক্ষর (Text), শব্দ (Voice), বিভিন্ন যন্ত্র (Computer, Mobile Phone, Telephone) বা ডিভাইস (Modem, Router) ইত্যাদি।
আর দুইটি পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।
প্রথম পক্ষ অর্থাৎ যে তথ্য প্রদান করবে তাকে প্রেরক এবং দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ যে তথ্য গ্রহণ করবে তাকে গ্রাহক বলে। প্রেরক ও গ্রাহকের তথ্য বহনকারীকে মাধ্যম বা মিডিয়াম বলা হয়।
মনে রাখো
- তথ্য আদান প্রদানের জন্য দুটি পয়েন্টের মধ্যে সংযোগ বা লিংক স্থাপনের প্রক্রিয়া হলো- কমিউনিকেশন।
- কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় কম্পিউটারে সিগনাল ব্যবহার করা হয়- দুই ধরনের ।
কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা (Concept of Commnication System)
কমিউনিকেশন শব্দটি ল্যাটিন শব্দ "Communicare" থেকে এসেছে যার অর্থ "to share (আদান-প্রদান)"। কমিউনিকেশন শব্দটির অর্থ হলো যোগাযোগ। কার সাথে কার যোগাযোগ? মানুষের সাথে মানুষের? নাকি যন্ত্রের সাথে যন্ত্রের? প্রকৃত পক্ষে যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার করে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগই হচ্ছে কমিউনিকেশন। আর এই যোগাযোগের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যম যেমন- টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিকস ক্যাবল, রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। সুতরাং উপাত্ত বা তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।
কমিউনিকেশনের গঠন পদ্ধতি নিম্নে দেখানো হলো-
চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে, কমিউনিকেশনের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে উৎস বা সোর্সের ডেটা যেমন- কণ্ঠস্বর, ছবি বা বার্তা একটি চ্যানেলের মাধ্যমে গন্তব্যে যাচ্ছে। এ পদ্ধতিতে একটি ট্রান্সমিটার বা প্রেরক যন্ত্র এবং রিসিভার বা প্রাপক যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
ট্রান্সমিটার প্রথমে সোর্স থেকে প্রাপ্ত ডেটাকে আলোক সংকেতে রূপান্তর করে মিডিয়াম এর মাধ্যমে ডেসটিনেশন বা প্রাপকের গন্তব্যে পৌছে দেয়। কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের উদাহরণসমূহ হলো-
সোর্স (Source): কম্পিউটার কী-বোর্ড, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন।
ট্রান্সমিটার (Transmitter): টেলিফোন ও মোবাইল ফোন কোম্পানির এক্সচেঞ্জ, মডেম, রাউটার, টিভি স্টেশন, রেডিও স্টেশন ইত্যাদি।
মিডিয়াম (Medium): টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, কোএক্সিয়াল ক্যাবল, টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
রিসিভার (Reciever): রাউটার, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, মডেম ইত্যাদি।
ডেসটিনেশন (Destination): মোবাইল ফোন বা টেলিফোন, সার্ভার, কম্পিউটার ইত্যাদি।
মনে রাখো
- কমিউনিকেশনের সোর্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে- মডেম।
- ডেসটিনেশন হিসেবে ব্যবহার হতে পারে- মোবাইল ফোন।
- ডেটা ট্রান্সক্রিপ্ট সিস্টেমের উপাদান হলো- ট্রান্সমিটার ও মডেম।
ডেটা কমিউনিকেশনের ধারণা (Concept of Data Communication)
কোনো ডেটাকে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে কিংবা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে অথবা একজনের ডেটা অন্য সবার নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডেটা কমিউনিকেশন। ডেটা কমিউনিকেশন করার জন্য কমিউনিকেটিং ডিভাইসগুলো অবশ্যই হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। প্রধানত তিনটি বৈশিষ্ট্যের (Characteristics) উপর ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের কার্যকারিতা নির্ভর করে। যেমন-
১. ডেলিভারি (Delivery): সিস্টেমকে অবশ্যই ঠিক প্রান্তে ডেটা ডেলিভারি করতে হবে।
২. অ্যাকুরেসি (Accuracy): সিস্টেমকে অবশ্যই সঠিকভাবে ডেটা ডেলিভারি করতে হবে।
৩. টাইমলিনেস (Timeliness): সিস্টেমকে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে ডেটা ডেলিভারি করতে হবে। ভিডিও, অডিও তৈরি হবার সাথে সাথে ডেলিভারি করে দেয়াকে রিয়েল টাইম ট্রান্সমিশন বলে।
ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক বিষয়সমূহ:
একটি ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেম সাধারণত পাঁচটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়।
১. মেসেজ (Message): মেসেজ হলো এক ধরনের বার্তা, ডেটা বা তথ্য যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। মেসেজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- টেক্সট, ছবি, অডিও/সাউন্ড, ভিডিও ইত্যাদি।
২. প্রেরক (Sender): প্রেরক হলো এক ধরনের ডিভাইস যা তথ্য প্রেরণ করে। বিভিন্ন ধরনের প্রেরক ডিভাইস হতে পারে। যেমন- কম্পিউটার, টেলিফোন, স্মার্টফোন সেট ইত্যাদি।
৩. মাধ্যম (Medium): মিডিয়াম বা মাধ্যম হলো এক ধরনের Physical Path যা প্রেরক ও প্রাপককে সংযুক্ত করে ডেটা প্রেরণে সহায়তা করে। যেমন- টুইস্টেড পেয়ার (twisted-pair), কো-এক্সিয়াল ক্যাবল (coaxial cable), ফাইবার অপটিক ক্যাবল (fiber optic cable), ওয়্যারলেস ইত্যাদি।
৪. প্রাপক (Receiver): প্রেরক ডিভাইস থেকে পাঠানো ডেটা প্রাপক ডিভাইস গ্রহণ করে। বিভিন্ন ধরনের প্রাপক ডিভাইস হতে পারে। যেমন- কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেলিফোন সেট ইত্যাদি।
৫. প্রটোকল (Protocol): দুটি নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের সময় কিছু নিয়মনীতি, যা যোগাযোগের প্রকৃতি নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও সমন্বয় করে তাকে প্রটোকল বলে। অর্থাৎ, নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোর মধ্যে তথ্য স্থানান্তর করার জন্য যে নিয়মনীতি বা মেকানিজমের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় তাকে প্রটোকল বলে।
ডেটা কমিউনিকেশনে কিছু প্রচলিত প্রোটোকল হলো:
IP (Internet Protocol): ইন্টারনেট নেটওয়ার্কসমূহের মধ্য দিয়ে travel শেষে ডেটা যেন সঠিক উৎস হতে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করে। একারণেই প্রত্যেক নেটওয়ার্ক ও ডিভাইসের স্বতন্ত্র নাম বা ঠিকানাকে বলা হয় IP Address
TCP (Transmission Control Protocol): Application Device এর মধ্যে ডেটার লেনদেনের প্রোটোকল। এখানে সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয় তাই অনেক সময় কানেকশন একটু হলেও স্লো মনে হতে পারে।
UDP (User Datagram Protocol): ভিডিও প্লেবেক কিংবা DNS Look-up এর মত Time Sensitive ট্রান্সমিশনের প্রোটোকল। এখানে সিকিউরিটি কম কিন্তু সময়ও লাগে কম।
HTTP (Hyper Text Transfer Protocol): ইন্টারনেট থেকে রিসোর্স সন্ধান এবং ক্লায়েন্ট-সার্ভার মধ্যবর্তী সমন্বিত তথ্য-উপাত্ত ট্রান্সপোর্টেশন ও এনকোডিং-ডিকোডিং প্রোটোকল।
HTTPS (Hyper Text Transfer Protocol Secure): HTTPS কে বলা হয় HTTP with Encryption & Verification। মূলত Normal HTTP Requests & Responses এর সাথে TLS (Transport Layer Security) ও SSL (Secure Socket Layers) ব্যবহার করে একে এনক্রিপ্ট করে HTTPS।
SMPP (Short Message Peer-to-peer Protocol): SMS প্রেরণ ও গ্রহণের প্রোটোকল।
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol): ই-মেইল প্রেরণ ও অ্যাটাচমেন্ট যুক্তকরণের প্রোটোকল।
IMAP (Internet Message Access Protocol): ই-মেইল রিসিভ ও অনলাইন চ্যাটিংয়ে কাজ করে এ প্রোটোকল। তবে বর্তমানে অনলাইন চ্যাটিংয়ে Google এর তৈরি WebRTC (Web Real Time Communication) বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
VoIP (Voice over Internet Protocol): Internet Protocol যখন অনলাইন কল এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
FTP (File Transfer Protocol): ফাইল আপলোড, ডাউনলোড ও শেয়ার করার প্রোটোকল।
SFTP (SSH Transfer Protocol/Secure File Transfer Protocol): একে FTP over SSH ও বলা হয়। ফাইল ট্রান্সফারের সময় উক্ত ফাইল ও কমান্ড লাইনসমূহ SSh (Secure Shell) দ্বারা Encrypt করে FTP কর্তৃক Share করার প্রোটোকলই SFTP।
BGP (Border Gateway Protocol): ISP (Internet Service Provider) সমূহের ব্যবহৃত প্রোটোকল, যা Routing Information সমূহ Exchange এ ব্যবহৃত হয়।
ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থা:
প্রেরক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত মডেম কম্পিউটারে ব্যবহৃত ডিজিটাল ডেটাকে অ্যানালগ ডেটায় রূপান্তরিত করে টেলিফোন লাইনে প্রেরণ করে। টেলিফোন লাইন ডেটাকে অ্যানালগ হিসাবে সেটা প্রাপক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেমে পৌঁছে দেয়। প্রাপক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম টেলিফোন লাইন থেকে প্রাপ্ত অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরিত করে প্রাপক কম্পিউটারে প্রেরণ করে।
নিম্নে চিত্রের সাহায্যে প্রেরণ পদ্ধতি দেখানো হলো:
ডেটা ট্রান্সমিশনে মডুলেশন/ডিমডুলেশন এর ভূমিকা
আমরা ই-মেইলের মাধ্যমে যে টেক্সট, ছবি বা ভিডিও পাঠাই তা আসলে ডিজিটাল ফরমেটের ডেটা। কিন্তু এটি যখন এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তরিত হয় তখন অবশ্যই এটিকে তারযুক্ত বা তারবিহীন যে কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অ্যানালগ বা ডিজিটাল বা সিগন্যাল হিসেবে পরিবাহিত হতে হয়। সুতরাং উৎস থেকে গন্তব্যে পরিবহণের জন্য মাধ্যমে প্রবেশ করার পূর্বে ডেটাকে ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়ে। একে মডুলেশন বলে। পুনরায় গন্তব্যে পৌঁছাবার পর ডিজিটাল ডিভাইসে এটিকে অবিকৃত অবস্থায় পাবার জন্য ডেটাকে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল সিগন্যাল ফর্মেটে রূপান্তর করে। এটিকে বলা হয় ডিমডুলেশন। ডেটা ট্রান্সমিশনে এই মডুলেশন এবং ডিমডুলেশনের কাজটি একই ডিভাইস করে থাকে। এটি মডেম নামে আমাদের কাছে পরিচিত। ডেটা কমিউনিকেশনে মডেমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ব্যান্ডউইথ (Bandwidth)
একটি নির্দিষ্ট সময়ে চ্যানেল দিয়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ব্যান্ডউইথ হিসেবে পরিমাপ করা হয়। একে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড-এর একককে bps (bit per second)-এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা বিট স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে bps বলে। নির্দিষ্ট পরিমাণ বিপিএস যখন ডেটা ট্রান্সমিশনের গতির একক হিসেবে চিহ্নিত হয়, তখন সেটিকে Band বা Bandwidth বলা হয়।
বিভিন্ন মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের গতিকে ব্যান্ডউইথ বলা হলেও, ব্যান্ডউইথ শব্দটি আসলে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসের স্পিড বুঝাতে এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ-ব্যান্ডউইথ হলে প্রতি সেকেন্ডে চ্যানেলের মধ্য দিয়ে বেশি পরিমাণ ডেটা পরিবাহিত হবে। এর ফলে দ্রুতগতির সার্ভিস পাওয়া যায়। যেমন-ছবি বা ভিডিও এর মতো বেশি পরিমাণের ডেটা এক্ষেত্রে তুলনামূলক কম সময়ে ডাউনলোড হবে। আর ব্যান্ডউইথ কম হলে চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে পরিবাহিত ডেটার পরিমাণ কম হবে। এর ফলে ছবি বা ভিডিও এর মতো বেশি পরিমাণের ডেটাগুলো আসতে অনেক সময় লাগবে বা অনেক ক্ষেত্রে তা নাও আসতে পারে।
উচ্চ ব্যান্ডউইথ ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে অনেক বেশি ডেটা দ্রুতসময়ে ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়, ইন্টারনেটে স্বাচ্ছন্দ্যে ভিডিও দেখা যায় এবং অডিও শোনা যায়।
বর্তমানে নেটওয়ার্কে অনেক বেশি ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায় বলে বিপিএস (bps) এর পরিবর্তে কেবিপিএস (kbps: প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ বিট) বা এমবিপিএস (Mbps: প্রতি সেকেন্ডে এক মিলিয়ন বিট) এমনকি জিবিপিএস (Gbps: প্রতি সেকেন্ডে এক বিলিয়ন বিট) অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো মাধ্যমের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড উইডথকে বাইট/সে (Bps-Byte per Second) দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আট বিটকে এক বাইট বলা হয়। এক MBps বলতে আট Mbps বোঝানো হয়।
একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইডথ সেখানে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও মাধ্যমের উপর নির্ভর করে। যেমন- মাধ্যম হিসাবে টুইস্টেড পেয়ার ও কোএক্সিয়েল ক্যাবল ব্যবহার করলে যে পরিমাণ ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়; ফাইবার অপটিক ক্যাবলে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সাথে যথাযথ স্পিডের টারমিনাল ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইডথ পাওয়া সম্ভব।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইডথ কেমন হবে তা নির্ভর করে আইএসপি (ISP) কানেকশনের উপর।
আইএসপি কানেকশন দুই ধরনের, যথা-
১. শেয়ারড কানেকশন: একটি কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যেহেতু অনেকে ব্যবহার করে তাই নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইডথ সকল ব্যবহারকারীর মাঝে ভাগ হয়ে যায়।
২. ডেডিকেটেড কানেকশন: গ্রাহক যত স্পীডের কানেকশন নিয়েছে, সব সময় ঠিক সেই পরিমাণ ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়।
ব্যান্ডউইথ একক হিসাব (Units of Bandwidth Measurement)
প্রতি সেকেন্ডে একক বিট ডেটা স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে bps (bit per second) বলে। তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হলো বিট (Bit)। Bit এর পুরো নাম Bynary Digit। এক বিট সমান বাইনারি তথ্য 0 বা 1। ৮ বিটে এক বাইট (Byte) সমান এক ক্যারেক্টার।
• bps অর্থ হলো bit per second (1 বিট = 1 বা 0)
• kbps হলো kilobits per second (1024 বিটে =1 কিলোবিট)
• Mbps হলো megabits per second (1024 কিলোবিট 1 মেগাবিট)
• Gbps হলো gigabits per second (1024 মেগাবিট 1 গিগাবিট)
• Tbps হলো Terabits per second (1024 গিগাবিট =1 টেরাবিট)
• Pbps হলো Petabit per second (1024 টেরাবিট-1 পেটাবিট)
সমস্যা: একটি চ্যানেল দিয়ে ও সেকেন্ডে 8100 বিট স্থানান্তরিত হলে তার ব্যান্ডউইথ কত?
সমাধানঃ
3 সেকেন্ডে স্থানান্তরিত হয় 8100 বিট
1 সেকেন্ডে স্থানান্তরিত হয় 8100/3 =2700 বিট
সুতরাং, ব্যান্ডউইথ = 2700 bps.
সমস্যা: যদি তোমার ইন্টারনেট স্পিড হয় ৫১২ কিলোবিট পার সেকেন্ড (kbps), তাহলে ৫ মেগাবাইটের (MB) একটি ফাইল ডাউনলোড হতে তোমার কম্পিউটারে কত সময় লাগতে পারে?
সমাধান :
৫ মেগাবাইট (MB) = (১০২৪ * ৫ * ৮ ) কিলোবিট = ৪০, ৯৬০ কিলোবিট।
৫১২ কিলোবিট ডাউনলোড হতে ১ সেকেন্ড সময় লাগলে
৪০,৯৬০ কিলোবিট ডাউনলোড হতে সময় লাগবে = ৪০৯৬০÷ ৫১২ = ৮০ সেকেন্ড = ১ মিনিটি ২০ সেকেন্ড।
সমস্যা: যদি তোমার ইন্টারনেট স্পিড 256 Kbps হয়, তাহলে 6 MB সাইজের একটি ফাইল ডাউনলোড করতে কত সময় লাগবে?
সমাধান :
6 MB = 6 x 1024 KB = 6 x 1024 x 8 Kb = 49152 Kb
ফাইলটি ডাউনলোড হতে সময় লাগবে = 49152 / 256 = 192 সেকেন্ড = 3 মিনিট 12 সেকেন্ড
সমস্যা: একটি চ্যানেল এর মধ্য দিয়ে ৫ সেকেন্ডে ১৩৫০০ বিট ডেটা স্থানান্তরিত হলে ব্যান্ডউইডথ কত?
সমাধান :
৫ সেকেন্ডে ডেটা স্থানান্তরিত হয় ১৩৫০০ বিট
১ " " " ১৩৫০০/৫ বিট
= ২৭০০ বিট
যেহেতু প্রতি সেকেন্ডে বিট ডেটা স্থানান্তরিত হওয়ার হারকে ব্যান্ডউইডথ বলে। আর ব্যান্ডউইডথ এর ক্ষুদ্রতম
একক bps।
সুতরাং ব্যান্ডউইডথ হলো- ২৭০০ bps।
ব্যান্ডউইডথকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডও বলা হয়।
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডের প্রকারভেদ
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band)
৩. ব্রড ব্যান্ড (Broad Band)
ন্যারোব্যান্ড (Narrowband)
ন্যারোব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ব্যান্ড ধীরগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত টেলিফোনির ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডটির ব্যবহার অধিক লক্ষ্য করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ন্যারোব্যান্ড সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০০ হার্টজ (Hz) ফ্রিক্যুয়েন্সি প্রদান করে থাকে। যেহেতু শব্দ তরঙ্গ ন্যারো রেঞ্জের ফ্রিকোয়েন্সিতে পরিবাহিত হয়ে থাকে তাই ন্যারোব্যান্ডকে অডিও স্পেকটামের সাথে সমন্বিতভাবে শব্দ ধারণে ব্যবহার করা যায়। এজন্য একে সাব-ভয়েসব্যান্ডও বলা হয়।
একসময় টেলিগ্রাফে টেক্সট ম্যাসেজ প্রদানে ন্যারোব্যান্ড ব্যবহৃত হতো। তবে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে খুবই সংক্ষিপ্ত দূরত্বে এবং হাই কোয়ালিটি ভয়েস ডেটা প্রয়োজন নেই এমন যোগাযোগের জন্য ন্যারোব্যান্ড ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স পারস্পরিক কমিউনিকেশন, ওয়াকি-টকি, ব্লুটুথ, জিগবি, টু ওয়ে রেডিও ইত্যাদি। ন্যারোব্যান্ড ব্যবহৃত হয় এমন একটি ডিভাইস হলো পেজার (Pager)।
ভয়েসব্যান্ড (Voiceband)
ভয়েসব্যান্ডের গতি সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডে প্রায় 300 থেকে 3400 হার্টজ (Hz) ফ্রিকোয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। টেলিফোনির ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং এ সাধারণত 4 কিলোহার্টজ ক্যারিয়ার স্পেসিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে, কীবোর্ড থেকে কমপিউটারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েসব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোনো ডিভাইসের ব্যান্ডউইথ 300 bps এর অধিক হতে 9 kbps পর্যন্ত হলে তা সাধারণভাবে ভয়েসব্যান্ড হিসেবে গণ্য হতে পারে, কেননা ভয়েসব্যান্ডের সীমা 9600 bps হওয়ায় তা প্রায় 9 kbps (1 kb = 1024 bits) সমতুল্য হবে। ভয়েসব্যান্ডকে ভয়েস ফ্রিকোয়েন্সি নামেও অভিহিত করা হয়। আগে ইন্টারনেট একসেস করার জন্য যে ডায়াল-আপ মডেমটি ব্যবহার করা হতো সেটি ভয়েসব্যান্ডের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। এই ডায়ালআপ ভয়েসব্যান্ড মডেমগুলোর ব্যান্ডউইথ 56 kbps.
ওয়াইডব্যান্ড (Wideband): ওয়াইডব্যান্ড হলো একটি অধিক বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সির কমিউনিকেশন চ্যানেল যা বর্তমানের ক্রমবর্ধমান হাইডেফিনেশন অডিও ডেটার পরিবহনের চাহিদা মেটাতে তৈরি হয়েছে। ন্যারোব্যান্ড কিংবা ভয়েসব্যান্ড ব্যবহৃত হওয়া ট্র্যাডিশনাল টেলিফোনি সিস্টেমে যেখানে 300-3400 Hz ফ্রিকোয়েন্সিতে অডিও ডেটা স্থানান্তর করা হতো যা নানা কারণে নিম্নমানের এবং শোনার জন্য অনেক সময় অস্পষ্ট অডিও আউটপুট প্রদান করে। অন্যদিকে ওয়াইডব্যান্ড এক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড স্পেকট্রাম ব্যবহার করে চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সিকে 150 থেকে 7000 Hz পর্যন্ত রেঞ্জে বর্ধিত করতে সক্ষম। এর ফলশ্রুতিতে এ চ্যানেলের মাধ্যমে অনেক বেশি উচ্চমান সম্পন্ন এবং ক্লিয়ার ভয়েজ বা অডিও ট্রান্সমিট হয়ে থাকে। ওয়াইডব্যান্ড চ্যানেলে ট্রান্সমিট হওয়া ভয়েস বা অডিও ডেটাকে হাই ডেফিনেশন বা এইচডি (HD) অডিও বলা হয়। বর্তমানে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল বা VOIP কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ওয়াইডব্যান্ড অডিও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ব্রডব্যান্ড (Broad Band)
উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। ব্রডব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইডথ ও অধিক ডেটা বহনের ক্ষমতা থাকে এবং যার গতি 1Mbps থেকে অনেক উচ্চগতি পর্যন্ত হয়। এ ব্যান্ডউইথের ফ্রিকোয়োন্সি 1 MHz থেকে 300 GHz পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া WiMAX, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ও মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রেও এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট (Broadband Internet)
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হলো উচ্চগতির ইন্টারনেট কানেকশন। ব্যবহারকারীর অবস্থা, মূল্য, এটি টেলিফোন নাকি ওয়্যারলেস মিডিয়া কার সাথে সংযুক্ত এসব ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন কয়েক রকম হতে পারে। যথা-
• ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন (DSL)
• ওয়্যারলেস (Wireless)
• ক্যাবল মডেম (Cable Modem)
• স্যাটেলাইট (Satellite)
• ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ার লাইন (BPL)
ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন (DSL): এটি একটি তারভিত্তিক ট্রান্সমিশন প্রযুক্তি যা ট্র্যাডিশনাল টেলিফোন লাইনের ভেতর দিয়ে দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে। এর ব্যান্ডউইথ ১০ কেবিপিএস থেকে মিলিয়ন এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত টেলিফোনের লাইন আছে এমন বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিএসএল ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করা হয়। এর ডেটা ট্রান্সফার স্পিড উৎস থেকে গন্তব্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে।
ক্যাবল মডেম (Cable Modem): ডিশ কানেকশন দেয়া কো-অক্সিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেয়াকে ক্যাবল মডেম ব্রডব্যান্ড কানেকশন বলা হয়। সাধারণত ক্যাবল টিভি অপারেটরগণ এ ধরনের কানেকশন প্রোভাইড করে থাকে।
ফাইবার (Fiber): অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করে দেয়া ইন্টারনেট কানেকশনকে ব্রডব্যান্ড ফাইবার কানেকশন বলে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা আলোর গতিতে চলাচল করে বিধায় সাধারণ ডিএসএল বা ক্যাবল মডেম কানেকশনের তুলনায় এই ব্রডব্যান্ড কানেকশনে ১০ থেকে ১০০ এমবিপিএস বেশি গতিতে ডেটা স্থানান্তর হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি সার্ভিস।
ওয়্যারলেস (Wireless): তারবিহীন ব্রডব্যান্ড কানেকশনকে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে রেডিওলিংকের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড কানেকশন ফিক্সড বা মোবাইল উভয় রকমই হতে পারে। সাধারণত রিমোট এরিয়া এবং ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে এ কানেকশন বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
স্যাটেলাইট (Satellite): পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে ভূ-কক্ষপথে স্থাপিত স্যাটেলাইট যেভাবে টেলিফোন এবং টেলিভিশন সার্ভিসের জন্য ডেটালিংক প্রদান করে ঠিক একইভাবে এটি ব্রডব্যান্ড কানেকশনের জন্যও লিংক প্রদান করে। এটি ওয়্যারলেস কানেকশনের বিকল্প একটি রূপ হিসেবে চিহ্নিত। যে সমস্ত অঞ্চলে ফিজিক্যাল কানেকশন স্থাপন করা দুরূহ সেসব অঞ্চলে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড কানেকশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়ে থাকে।
ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ারলাইন (BPL): হাই বা লো ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক কানেকশনের মধ্য দিয়ে ব্রডব্যান্ড কানেকশন প্রদান করার সিস্টেমকে ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ার লাইন বা BPL বলা হয়ে থাকে। এ ধরনের কানেকশন খুবই উপযোগী, কেননা সর্বত্রই বৈদ্যুতিক লাইন পাওয়া যায়। তাই এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ডের জন্য নতুন কোনো কানেকশন বা মাধ্যম ইনস্টল না করেই সহজে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করা যায়।
মোবাইল ব্রডব্যান্ড (Mobile Broadband): তারবিহীন মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি একসেস করা হয়ে থাকে 3G/4G এবং এলটিই (LTE) সক্রিয় স্মার্টফোন বা মোবাইল সিম সংযুক্ত মডেমের মাধ্যমে। এর স্পিড নির্ভর করে ডেটা ক্যারিয়ার ও ব্যবহারকারীর দূরত্বের উপর। সবচেয়ে দ্রুতগতির তারবিহীন প্রযুক্তি LTE ইন্টারনেট ব্রাউজিং বা ডাউনলোডিং/আপলোডিং এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 150Mbps পর্যন্ত স্পিড প্রদান করতে সক্ষম।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধাসমূহ:
• এ কানেকশনের সাহায্যে ইন্টারনেট থেকে ছবি, ভিডিও প্রভৃতি দ্রুত ডাউনলোড করা যায়। অনলাইন গেমিং কেবলমাত্র ব্রডব্যান্ড কানেকশন দ্বারাই সম্ভব হয়।
• ব্রডব্যান্ড কানেকশন যে মাধ্যম দিয়ে প্রদান করা হয়, এটি সেই মাধ্যমের অন্যান্য ডেটা সার্ভিসকে প্রভাবিত করে না। ক্যাবল মডেম কানেকশন দিয়ে একই সাথে টিভি'র অনুষ্ঠান দেখা এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং নির্বিঘ্নে করা যাবে।
• এর মাধ্যমে সর্বদা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা যায় বিধায় এটি খুবই সুবিধাজনক।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে আনলিমিটেড একসেস পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যের টেলিফোন বা ভিডিও ফোনের সেবা যেমন ভিওআইপি সেবা পাওয়া যায়।
Social Plugin